ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সড়কসহ গ্রামীন জনপদের বেহালদশা ঃ দেখার কেউ নেই

%e0%a7%8d%e0%a6%bf%e0%a7%8d%e2%80%8cনুরুল আমিন হেলালী, কক্সবাজার :::

সদর উপজেলার বৃহত্তম বাণিজ্যিক উপশহরখ্যাত ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়কসহ আভ্যন্তরিন সড়ক -উপসড়কগুলির বেহালদশা। বাজারের ডিসি সড়কসহ গ্রামীন জনপদগুলো সামান্য বৃষ্টিতে জলকাদায় একাকার হয়ে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সামান্য বৃষ্টিতে বাজারের প্রতিটি সড়ক যেন কাদাজলের ভাগাড়। এছাড়া আলমাছিয়া মাদ্রাসা সড়ক, ঈদগাঁও-চৌফলদন্ডী সড়ক, কবি নুরুল হুদা সড়ক, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কসহ বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের প্রত্যন্ত এলাকার সড়কগুলি যেন খানা-খন্দে যাত্রী পথচারীদের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে কক্সবাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর, কার্যকর ও টেকসই সড়ক সংস্কারে পরিকল্পিত পদক্ষেপ না থাকার কারনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ ঈদগাঁওবাসীর। সরেজমিনে বাজারের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক ও উপসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নেই, সড়কগুলি খানাখন্দকে ভরা, বৃষ্টি নিষ্কাশনের জন্য নামে মাত্র যে’কটি ড্রেন আছে সেগুলিও বর্জ্য- আবর্জনায় ভরে গিয়ে পানি নিষ্কাশনের অযোগ্য হয়ে পড়েছে । অন্যদিকে প্রতাপশালী ভুমিখেকো জমিদাররা অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত মার্কেটগুলোর সামনের ফুটপাত দখল করে ঝুলন্ত দোকান করায় পথ চলতে বিপাকে পথচারীরা। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষার্থী, সাধারণ ব্যবসায়ী, পথচারী, ভোক্তাসাধারণ থেকে শুরু করে বাজার সংশ্লিষ্ট সব শ্রেণীপেশার মানুষ। জানা গেছে, বাজারের ডিসিরোড়, বাঁশঘাটা রোড়, তরকারী বাজার, মসজিদের পেছন রোড়, হাসপাতাল সড়ক, কালিবাড়ি রোড়সহ প্রতিটি জনগুরুত্বপুর্ণ এলাকার অলিগলিও চলাচলের পথ কাদাজলে টইটুম্বুর । দেখা গেছে, ঈদগাঁও বাসষ্টেশন থেকে নেমে বাজারে ঢুকার পথে জলকাদার ভেতর দিয়ে পা ফেলে ফেলে ব্যবসায়ী, পথচারী, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ মানুেষর কি নিদারুণ কষ্টের যাতায়াত। বিশেষ করে ষ্টেশন থেকে বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে ঈদগাহ মেডিকেল হাসপাতালের সামনে পর্যন্ত, কালিবাড়ি রোড় থেকে বাঁশঘাটা ব্রীজ পর্যন্ত সড়কের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। মাষ্টার সোলতান আহমদ, মনছুর আলম, স্কুল-কলেজ পড়–য়া শহিদ, নাজমুল, নাহিদা, অনন্যা, ব্যবসায়ী ছৈয়দ করিম, নুরুল আবছার, আরিফ উল্লাহ, নাছির উদ্দিনসহ কয়েক চাকুরিজীবি বাজারের সড়কগুলোর দুর্দশা সম্পর্কে বলেন, বাজারের প্রধান সড়কের অবস্থা মগের মুল্লূকের চেয়েও ভয়ানক। তবে ১৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ঈদগাঁওয়ের কৃতি সন্তান লে:কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলামসহ ঈদগাঁও, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়ে বাজারের বেহালদশা পরিদর্শন করে শীঘ্রয় বাজারের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষনা দেয়ায় একটু হলেও আশ্বস্ত হয়েছে ঈদগাঁওবাসী। বিগত সময়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোটের আগে কথার মাধ্যমে এলাকায় উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিলেও অল্প বৃষ্টিতে খানা-খন্দেভরপুর সড়কগুলি কাদাজলে ভাসলেও তাদের ঘুম ভাঙ্গেনা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ বাজারটি দুইটি ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন হওয়ায় মন:স্তাত্ত্বিক দ্বন্দের কারনে ইতিপূর্বে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিল। দেখার কেউ না থাকায় বাজারের প্রতিটি অলিগলির সড়কের উভয় পাশে বেইজ লেভেল ৩-৫ ফুঁট উঁচুতে অপরিকল্পিত ভবন,শপিংমল,দোকানপাট নির্মানের ফলে মুলসড়কটি সামান্য বৃষ্টি হলেই নালায় পরিণত হচ্ছে।

আর টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মওসুম না হলেও অল্প বৃষ্টিতে জলকাদা, জলাবদ্ধতা, নালা-নর্দমার দুর্গন্ধ বাজারবাসীর’র যেন নিত্যসঙ্গী। জানা গেছে, সরকার বিভিন্নখাত থেকে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করলেও উন্নয়নখাতে তার ছিঁটেফোঁটাও ব্যয় হয়না। দায়সারাগোচের কিছু ড্রেন কিংবা স্বল্পমেয়াদী সড়কের কিছু খানা-খন্দ সংস্কার করা হলেও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে তা পুরোপুরি অকার্যকর এবং ব্যর্থ। তাই দলমত নির্বিশেষে বাজার অভন্ত্যরীণ বেহাল সড়কগুলি সংস্কারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ঈদগাঁওবাসী।

পাঠকের মতামত: